BSEC has wanted technical assistance from the World Bank

The chairman of Bangladesh Security Exchange Commission met with Country Director of the World Bank and sought technical assistance and support. This issue is written in Bengali for the well understanding of the visitors.

Technical Assistance From World Bank

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে শেখ। বৈঠকে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কারিগরি ও অংশীদারিত্বমূলক সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছে বিএসইসি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিএসইসি ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় বাংলাদেশ ভুটানের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট তোসিয়াকি অনোয় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দেশের শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। দেশের শেয়ারবাজারের সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়, শেয়ারবাজারের সম্পূর্ণ পরিকাঠামোতে সুশাসন বৃদ্ধি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং শেয়ারবাজারের অংশীজন প্রতিষ্ঠানসমূহ বাজারের সম্পূর্ণ কাঠামোতে আধুনিকায়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

Technical Assistance From World Bank

এছাড়াও শেয়ারবাজারের সংস্কারের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স বিষয়েও আলোচনা হয়। সর্বোপরি আলোচিত বিষয়সমূহে বিশ্বব্যাংকের কারিগরি ও অংশীদারিত্বমূলক সমর্থ ও সহযোগিতার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।

তারল্য সঙ্কট কাটছে শেয়ারবাজারের চার ব্যাংকের

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চার ব্যাংকের তারল্য সঙ্কট কাটতে শুরু করেছে। এরফলে ব্যাংকগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে গ্রাহকদের আস্থা। ব্যাংক চারটির কর্মকর্তারা আশা করছেন, খুব শিগগিরই ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসবে।

ব্যাংকগুলো হলো-স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক-এসআইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের মাধ্যমে সহায়তা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নীতির আওতায় গত বুধবার ব্যাংক চারটি অন্য পাঁচটি সবল ব্যাংকের কাছ থেকে ৯৪৫ কোটি টাকা পেয়েছে।

ব্যাংক চারটির মধ্যে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ২৭০ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা।

Technical Assistance From World Bank

ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়েছে দ্য সিটি ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা এবং মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে দ্য সিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংককে দ্য সিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা ও বেঙ্গল কমার্সিয়াল ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা। আর গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক।

স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের হেড অফ ইনভেস্টমেন্ট নাজমুস সাকিব এ বিষয়ে বলেন, দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে, যা গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, গত কিছুদিন গ্রাহকরা গচ্ছিত অর্থ ও এফডিআর তুলতে ভীড় করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের সংবাদে গত কয়েকদিন থেকে গ্রাহকদের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ নিয়ে চিন্তা অনেকটা দূর হয়েছে।
দেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ সবল ব্যাংক থেকে ধার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ব্যাকগুলো হলো- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে সবল ব্যাংক থেকে বিশেষ ধার পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি থাকার কারণে অন্তত ১৪টি সবল ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা, ব্র্যাক, সিটি ব্যাংক, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও বেঙ্গল কমার্সিয়াল ব্যাংক অন্যতম।

Technical Assistance From World Bank

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংঘঠন এফবিসিসিআই’ সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিকতা ফিরবে। ব্যাংকখাতে যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছিল গ্রাহকের তা আবার ফিরে আসবে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর আবু আহমেদ বলেন, এস আলমসহ কিছু লুটেরা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে গেছে। এ কারণে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে পারছেনা। এতে এখাতে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সঙ্কট নিরসনে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত বর্তমান সঙ্কট কাটাতে অনেকটা সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে ব্যাংকসহ আর্থিকখাত স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শেয়ারবাজারের ১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যান-এমডিদের তলব

সবশেষ বছরে বিনিযোগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেও বিতরণ না করায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও কোম্পানি সচিবকে তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

আগামী রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের মিটিং সভায় তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোম্পানিগুলো হলো— লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেড, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড, ফরচুন সুজ লিমিটেড, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বিচ হ্যাচারি লিমিটেড, অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, লিবরা ইনফিউশন লিমিটেড, প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড এবং ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

Technical Assistance From World Bank

জানা গেছে, সর্বশেষ হিসাব বছরে উল্লিখিত ১৪ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। কিন্তু ডিভিডেন্ড ঘোষণা করার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করেনি। ফলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু কোম্পানি ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের প্রদান করার কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত করা হয়েছে।

তবে কী কারণে কোম্পানিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রদান করেনি, সভায় তার ব্যাখ্যা জানবে কমিশন। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোকে দ্রুত ডিভিডেন্ড বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হবে। এরপরেও যদি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি পর্ষদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

যেসব কোম্পানি যথাসময়ে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড প্রদান করেনি, সেসব কোম্পানি বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। কোম্পানিগুলো সম্প্রতি সময়ে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড প্রদান না করার কারণে শেয়ারবাজারে বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে অভিযোগগুলো কঠোর অবস্থান নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।

Technical Assistance From World Bank

এদিকে, কোম্পানিগুলো কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৬ অক্টোবর সকাল ১০টায় সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আপনার কোম্পানির ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণের পরিস্থিতি সম্পর্কিত একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সচিবকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাসঙ্গিক নথি, দাখিল ও প্রস্তাবনাসহ উপস্থিত হতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

technical assistance

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং শেয়ারবাজারের সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিশন খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আগামীতে অতিদ্রুত স্বল্প সময়ের মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার করা হবে। এর ফলে আগামীতে আমরা শিগগিরই উন্নত পুঁজিবাজার দেখতে পাব বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

আরো পড়ুন। 

Leave a Comment