The Bangladesh Navy has circulated a job circular for hiring some people. This is a very attractive job opportunity for the job seekers in Bangladesh. Because Bangladesh Navy offer a smooth career and handsome salary with various facilities. This circular is written in Bangla for the better understanding of the visitors.
Bangladesh Navy Job Circular
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০২৫-এ ব্যাচে নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদে জনবল নিয়োগে আবেদন চলছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নৌবাহিনীতে ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল), মেডিকেল, প্যাট্রোলম্যান, রাইটার, স্টোর, মিউজ, এমওডিসি (নৌ), কুক, স্টুয়ার্ড ও টোপাস পদে লোকবল নিয়োগ করা হবে। এসব পদে মোট ৪৬০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
কোন শাখায় কতজন
ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল) পদে ৩২৯ জন, মেডিকেলে ১৩ জন, প্যাট্রোলম্যান ৮ জন, রাইটার ২০ জন, স্টোর ২২ জন, মিউজ ১০ জন, এমওডিসি (নৌ) ৮ জন, কুক ২৮ জন, স্টুয়ার্ড ৯ জন ও টোপাস পদে ১৩ জন নিয়োগ করা হবে।
আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা
ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল) পদে আবেদনের জন্য বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৩.৫০ নিয়ে পাস হতে হবে। তবে এসএসসি পরীক্ষায় উচ্চতর গণিতধারী প্রার্থী এবং বিএন ডকইয়ার্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ন্যূনতম ‘এ’ গ্রেডপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মেডিকেল পদে আবেদনের জন্য জীববিজ্ঞানসহ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-৩.৫০ নিয়ে পাস করতে হবে। প্যাট্রলম্যান, রাইটার, স্টোর, মিউজ ও এমওডিসি (নৌ) পদের জন্য যেকোনো বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-৩.০০ নিয়ে এসএসসি পাস। কুক ও স্টুয়ার্ড পদের জন্য যেকোনো বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-২.৫০ নিয়ে এসএসসি পাস এবং টোপাস পদের জন্য কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
শারীরিক যোগ্যতা
সিম্যান ও এমওডিসি (নৌ) পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, প্যাট্রোলম্যান পদে আবেদনের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি ও অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। উচ্চতার পাশাপাশি প্রতিটি পদের ক্ষেত্রেই আবেদনকারীর বুকের মাপ সাধারণ অবস্থায় ৩০ থেকে ৩২ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ২ ইঞ্চি বেশি হতে হবে। ওজন হতে হবে উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী এবং চোখের দৃষ্টি হতে হবে ৬/৬।
Bangladesh Navy Job Circular
অন্যান্য যোগ্যতা
আগ্রহী প্রার্থীদের বাংলাদেশি পুরুষ নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীর সাঁতার জানা আবশ্যক। ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে নাবিক পদের জন্য বয়স ১৭ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এমওডিসি (নৌ) পদের জন্য বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর।
অযোগ্যতা
বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশে প্রচলিত আইনে কেউ গ্রেপ্তার, দোষী সাব্যস্ত, বন্দী, আটক অথবা কোনো মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আদালতে বিচারাধীন থাকলে আবেদন করতে পারবেন না। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী অথবা সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত বা বহিষ্কৃত হলে এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে আবেদন করা যাবে না।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেইলর/অ্যাপ্লাই নাউ অপশনে ক্লিক করে প্রথমে প্রাক্-যোগ্যতা যাচাই করতে হবে। যাচাই শেষে অ্যাপ্লাই নাউ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রার্থীকে ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। যেকোনো ব্যাংকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট, ট্যাপ, ওকে ওয়ালেট) ইত্যাদির মাধ্যমে ২০০ টাকা জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর সঠিক তথ্য দিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তথ্য যাচাই করে ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে ‘নাবিক ১’ ফরমটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে। পরীক্ষার দিন ফরমটি সঙ্গে আনতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: আবেদনের শেষ সময় ১৫ অক্টোবর।
বাছাইপ্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদনকারীদের সব সার্টিফিকেট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদনপত্রসহ নিজ জেলার জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। প্রার্থীর সব কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে প্রথমে তাঁকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ইংরেজি, বাংলা, গণিত, বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা বিষয়ের ওপর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
Bangladesh Navy Job Circular
সুযোগ-সুবিধা
সরকার–নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন ও ভাতা দেওয়া হবে। বিনা মূল্যে পোশাক, থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা, কম মূল্যে পরিবারের জন্য রেশন ক্রয়ের সুবিধা, অবসর গ্রহণকালে অবসর ভাতা, গ্র্যাচুইটির সুবিধা, চাকরিকালীন যোগ্যতার ভিত্তিতে নন-কমিশন্ড অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও বিশেষ যোগ্যতার ক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার পদে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে অথবা পঙ্গু হলে বিমা–সুবিধা ও পরিবারের জন্য আর্থিক সুবিধা, বিদেশে প্রশিক্ষণ, নৌবাহিনীর জাহাজে বিদেশি পোর্টে শুভেচ্ছা সফর, জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বিদেশভ্রমণের মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ ও বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোয় চাকরির সুযোগ রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে
নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা যাবে এই ঠিকানায়—পরিচালক, পার্সোনেল সার্ভিসেস পরিদপ্তর, নৌবাহিনী সদর দপ্তর, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ফোন: ০২-৯৮৩৬১৪১-৯, বর্ধিত ২২১৫। মুঠোফোন নম্বর: ০১৭৬৯-৭০২২১৫। ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু সংখ্যক নাবিক ও তরূণ মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা নৌ কমান্ডো দল এবং মাত্র ২টি গান বোট ‘‘পদ্মা’’ ও ‘‘পলাশ’’ এর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত অপারেশানসমূহ বাংলাদেশের সবাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।
কালের পরিক্রমায় ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশ গঠন ও দেশের অখণ্ডতা রক্ষা; বিশেষ করে মিয়ানমার ও ভারতের কাছ থেকে যথাক্রমে বিগত ২০১২ সালে (মিয়ানমার) এবং ২০১৪ সালে (ভারতের সাথে) সমুদ্র সীমানা বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের ঐতিহাসিক রায়ে অর্জিত ‘সমুদ্র জয়’ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা এবং এ এলাকায় অবস্থিত সকল বন্দর ও স্থাপনার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাংলাদেশের অধিকার সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
যুদ্ধকালীন সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, অপারেশান পরিচালনা করা, শান্তিকালীন সার্বক্ষণিক উপস্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় সার্বভৌম নিয়ন্ত্রণ সংবদ্ধ করা, বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, সমুদ্রে টহল প্রদান, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, জলদস্যু প্রতিরোধ/দমন এবং তেল ও গ্যাস সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, আইন শৃংখলা রক্ষা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান (এভাকুয়েশান, রেসকিউ অপারেশান) ইত্যাদি পরিচালনা করা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দায়িত্বসমূহের অন্যতম। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে অপারেশান, বহুজাতিক প্রশিক্ষণ/মহড়া ইত্যাদিতেও বাংলাদেশ নৌবাহিনী অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।