There are many affected investors in the share market of Bangladesh. The stock market of Bangladesh has been in trouble for a long time. As a result, many investors affected in various aspects. For the better understanding, this article is written in Bengali.
Affected Investors
শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। এই উদ্যোগের ফলে শেয়ারবাজারের বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দ্রুত সুফল পাবেন। অতীতের দূরবস্থা ও শেয়ার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সরকার তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে সুবিধা দেবে।
রোববার (২০ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছর মেয়াদে অর্থনীতির অন্যান্য খাতের মতো শেয়ারবাজারেও অবাধ লুটতরাজ হয়েছে। এ সময়ে তালিকাভুক্ত হওয়া অসংখ্য দুর্বল ও প্রায় অস্তিত্বহীন কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারের জন্য আজ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Affected Investors
কিন্তু এখন ওই কৃত্রিম চেষ্টা না থাকায় ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকা অনিয়ম, দুর্নীতি, কারসাজির অনিবার্য পরিণতি এখন আগের চেয়েও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও আস্থা ফেরাতে বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য একটি ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, শেয়ারবাজার উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করতে শেয়ারবাজার সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বিএসইসি গঠিত শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭টি।
Affected Investors
টাস্কফোর্স কার্যক্রমের বাইরেও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কারে পথনকশা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে বাজারের বিভিন্ন সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে নানা সুপারিশ উঠে এসেছে।
বাজারের স্বার্থে যেসব সুপারিশ গ্রহণযোগ্য, যাচাই-বাছাইয়ের পর সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে তাতে দীর্ঘ মেয়াদে বাজারে তার সুফল মিলবে বলে আশাবাদী সরকার। শেয়ারবাজার তদারকি ও কারসাজি নিয়ন্ত্রণে সার্ভিলেন্স সিস্টেমের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বিএসইসি।
বিভিন্ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি একদিকে যেমন দেশের শেয়ারবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে অর্থায়নের ফলে এসব বিভিন্ন খাতের অধিকতর বিকাশের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন ও উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ তৈরি হবে।
এ লক্ষ্যে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫-এর সংস্কারের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো যাতে যৌক্তিক মূল্য পায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যা বহুজাতিক কোম্পানিসহ ভালো মৌলভিত্তিক কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে সহায়ক হবে।
Affected Investors
Affected Investors
আরও জানানো হয়, সরকার আশাবাদী, সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে গভীরতা বৃদ্ধি পাবে ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী হবে।
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে মিউচুয়াল ফান্ডের বিকাশ জরুরি: রাশেদ মাকসুদ
শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশের মিউচুয়াল ফান্ডের বিকাশ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
রোববার (২০ অক্টোবর) ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দেশের শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সরকারি মালিকানাধীন বিনিয়োগ কোম্পানি হিসেবে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে আইসিবিকে বিশেষ অবদান রাখতে হবে।
শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশের মিউচুয়াল ফান্ডের বিকাশ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডকে আরো বেশি জনপ্রিয় করতে এবং এই খাতের উন্নয়ন, বিকাশে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইসিবিকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি জানান, শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সংস্কার। দেশের শেয়ারবাজারের টেকসই ও যথাযথ সংস্কারের জন্য বিএসইসির গঠিত টাস্কফোর্স স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং সংস্কারের পরিকল্পনায় টাস্কফোর্সের অধীন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বেশ কিছু ফোকাস গ্রুপ কাজ করবে।
মতবিনিময় সভায় আইসিবির উদ্দেশ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারের টেকসই ও যথাযথ সংস্কার আনয়নে আইসিবি সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
এ সময় আইসিবি কর্মকর্তাবৃন্দ জানান, শেয়ারবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ ও নতুন পণ্য আনয়নে আইসিবির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও দেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাতের উন্নয়নের বিষয়েও আইসিবি বেশ কিছু কৌশলগত প্রস্তাবনা সভায় তুলে ধরে।
সভায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, ফারজানা লালারুখ, বিএসইসির কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবুল হোসেনসহ শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।