Labor Market in Malaysia for the People of Bangladesh

Labor Market in Malaysia – A good number of Bangladeshi people are working in Malaysia. Every year they send a huge amount of remittance to Bangladesh. This issue is discussed in Bengali for the better understanding of the visitors.

অনিয়ম রোধে করণীয়

সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তাঁর এ সফরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকেন্দ্রিক সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করতে হবে। কীভাবে তা করা যেতে পারে, তা নিয়ে লিখেছেন মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন সিকদার, সেলিম রেজা ও কে এম নূর-ই-জান্নাত

বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী কর্মী হিসেবে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়া একটি বিশাল শ্রমবাজার। প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মূলত নির্মাণশিল্প, কৃষিকাজ ও উৎপাদনশিল্পে কাজের আশায় মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। তবে এই অভিবাসনপ্রক্রিয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার খরচ প্রায় আকাশচুম্বী, যা পরবর্তী সময় তাঁদের জন্য এক অসহনীয় আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। উপরন্তু, মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর অনেক শ্রমিক প্রতিশ্রুত বেতন ও কাজ না পেয়ে নানান প্রতারণার শিকার হন। এর একটি বড় কারণ হলো, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। এ সিন্ডিকেট নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণার সুযোগ তৈরি করেছে। এই সিন্ডিকেটের নানা দুর্নীতির খবর দেশবাসী এরই মধ্যে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

Labor Market in Malaysia

বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন মডেল, যেমন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি), গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট (জিটুজি) এবং গভর্নমেন্ট প্লাস বিজনেস-টু-বিজনেস (জি-প্লাস-বিটুবি) প্রয়োগ করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এসব মডেলের কোনোটিই এখন পর্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। বিদ্যমান শক্তিশালী সিন্ডিকেট, দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগী চক্রের কারণে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকেরা একদিকে যেমন উচ্চ খরচ বহন করতে বাধ্য হচ্ছেন, অন্যদিকে তাঁরা বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। তাই এখনই সময়, বাংলাদেশ সরকারের একটি নতুন ও কার্যকর মডেল গ্রহণ করার, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য এবং খরচ কমানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার নিরিখে আমরা কিছু নতুন মডেল প্রস্তাব করছি, যা স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং দীর্ঘ মেয়াদে অভিবাসনপ্রক্রিয়ায় সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের জন্যও এ মডেল অনুসরণ করতে পারে।

ফিলিপাইন মডেল: সরকারি ব্যবস্থাপনায় চাকরির নিশ্চয়তা ও অভিবাসন বিমা

ফিলিপাইন বিশ্বজুড়ে তাদের প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি সফল নিয়োগব্যবস্থা চালু করেছে। বাংলাদেশ এই মডেল থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে এই মডেলের কিছু উপাদান নিজ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারে।

কীভাবে এটি কাজ করে

চাকরির ব্যবস্থা ও নিয়োগ: ফিলিপাইন সরকার সরাসরি নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে কাজ করে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। এতে মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালের প্রয়োজন না হওয়ায় শ্রমিকদের খরচ কমে আসে। বাংলাদেশেও বিএমইটি একই পদ্ধতিতে সরাসরি মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে কাজ করে নিয়োগপ্রক্রিয়াটি সহজ করতে পারে।

Labor Market in Malaysia

অভিবাসন বিমা ও সুরক্ষা তহবিল: ফিলিপাইন সরকার তাদের শ্রমিকদের জন্য একটি অভিবাসন বিমা প্যাকেজ চালু করেছে, যা শ্রমিকদের চিকিৎসা, আইনি সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন সুবিধা দেয়। বাংলাদেশও বিএমইটির অধীন এমন একটি সুরক্ষা তহবিল চালু করলে শ্রমিকদের যাবতীয় সমস্যায় সরাসরি সহায়তা দেওয়া যাবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থায় তাঁরা কাজের সময়ে যেকোনো সমস্যায় পড়লে সহায়তা পাবেন।

ইথিক্যাল রিক্রুটমেন্ট মডেল: আইওএমের আইআরআইএস সার্টিফিকেশন

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, আইওএমের আইআরআইএস (ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট ইন্টেগ্রেটি সিস্টেম) সার্টিফিকেশন মডেলটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। এই মডেলের অধীন রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলোকে উচ্চ নৈতিক মান অনুসরণ করতে হয়। এর মধ্যে স্বচ্ছ ফি প্রদান ও শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশেও মডেলটি ব্যবহার করে একটি সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে, যেখানে শুধু স্বীকৃত, স্বচ্ছ ও নৈতিক নিয়োগকর্তারাই অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

কীভাবে এটি কাজ করে

এজেন্সি সার্টিফিকেশন ও নজরদারি: যাঁরা আইআরআইএস সার্টিফিকেশন পেতে চান, তাঁদের নিয়মিত অডিট করা হয়, যাতে তাঁরা নৈতিক নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুসরণ করেন। এর মধ্যে আইনি ফির সীমা মেনে চলা, সঠিক পন্থায় চাকরি স্থানান্তর নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা প্রদান করা অন্তর্ভুক্ত। বিএমইটি একটি বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেশন সিস্টেম চালু করতে পারে, যাতে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সার্টিফায়েড হতে হয়। শুধু আইআরআইএসের মতো সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত এজেন্সিগুলোকে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে। যারা এই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবে, তারা তাদের সার্টিফিকেশন হারাবে এবং তাদের কার্যক্রম স্থগিত হবে।

ডিজিটাল স্বচ্ছতা প্ল্যাটফর্ম: আইআরআইএস-সার্টিফায়েড এজেন্সিগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রদান করতে হয়, যেখানে শ্রমিকেরা সব ফি এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন, যা পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। বিএমইটি আইওএমের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারে, যেখানে শ্রমিকেরা দেখতে পারবেন কোন এজেন্সিগুলো সার্টিফায়েড এবং তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত খরচগুলো পর্যালোচনা করতে পারবেন। এটি শ্রমিকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে এবং প্রতারক মধ্যস্বত্বভোগী থেকে রক্ষা করবে।

ডিজিটাল মাইগ্রেশন ওয়ালেট মডেল

মডেলটি প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে সব অভিবাসন খরচ একটি সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ফলে খরচের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রতারণার সুযোগ কমে যাবে।

কীভাবে এটি কাজ করে

সরকারনিয়ন্ত্রিত ই-ওয়ালেট: অভিবাসনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ফি এই ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে বিএমইটি সরাসরি নিয়োগকর্তা, এজেন্সি ও শ্রমিকদের আর্থিক লেনদেন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। ফলে কোনো প্রকার অতিরিক্ত বা গোপন ফি নেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

Labor Market in Malaysia

স্বচ্ছতা ও নজরদারি: বিএমইটি ও মালয়েশিয়ার সরকার উভয়েই এই ডিজিটাল লেনদেনগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, যা ফি বা খরচের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং শ্রমিকেরা প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারবেন।

ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস মডেল

বিএমইটি বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘ওয়ান-স্টপ সার্ভিস’ কেন্দ্র চালু করতে পারে, যেখানে এক জায়গাতেই সব অভিবাসন–সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে।

কীভাবে এটি কাজ করে

স্থানীয় নিয়োগ কেন্দ্র: বিএমইটি স্থানীয়ভাবে ‘ওয়ান-স্টপ সার্ভিস’ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে, যেখানে শ্রমিকেরা সরাসরি চাকরির আবেদন, ভিসা প্রসেসিং ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন। এতে দালালদের ভূমিকা কমে যাবে এবং খরচও কমানো সম্ভব হবে।

সব সেবা এক জায়গায়: এসব কেন্দ্রে এক জায়গাতেই প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রক্রিয়াকরণ, আবেদন জমা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে শ্রমিকদের আর দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করতে হবে না বা নিয়োগ এজেন্সিগুলোর কাছে পৌঁছাতে দালালদের ওপর নির্ভর করতে হবে না। এটি অভিবাসনপ্রক্রিয়ার সময়ও কমাবে।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) মডেল

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সরাসরি নিয়োগপ্রক্রিয়া চালু করার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) মডেলটি কার্যকরী হতে
পারে। মালয়েশিয়ার সরকার এবং কোম্পানিগুলোকে কর ছাড় বা অন্যান্য প্রণোদনা দিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

কীভাবে এটি কাজ করবে

সরাসরি নিয়োগের জন্য উৎসাহ প্রদান: মালয়েশিয়ার সরকার এবং বাংলাদেশের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) মধ্যে একটি অংশীদারত্ব তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো সরাসরি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করবে এবং মধ্যস্বত্বভোগী এড়ানো যাবে।

তৃতীয় পক্ষের অডিটিং: বিএমইটি ও মালয়েশিয়ার সরকার যৌথভাবে নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে নিয়মিত অডিট করবে, যাতে নিয়োগপ্রক্রিয়া ন্যায্য ও স্বচ্ছ হয়। এর ফলে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে এবং খরচ কমানো সম্ভব হবে। এসব অডিট নিশ্চিত করবেন যে অংশগ্রহণকারী নিয়োগকর্তারা স্বচ্ছতা বজায় রাখেন এবং শ্রমিকদের ওপর গোপন ফি আরোপ করেন না। একই সঙ্গে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চুক্তির মাধ্যমে নিয়োগকর্তাদের স্বার্থও রক্ষা করবে।

কর্মী প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ

বিএমইটি দেশজুড়ে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিচালনা করে। এসব কেন্দ্রকে ব্যবহার করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য অভিবাসন খরচ কমানো সম্ভব।

কীভাবে এটি কার্যকর করা যেতে পারে

বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ: বিএমইটি মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা চিহ্নিত করতে পারে। এর ভিত্তিতে মানসম্মত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরি করা হবে।

Labor Market in Malaysia

সার্টিফিকেশন: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে, যা মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীদের কাছে স্বীকৃত হবে।

ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্ট: প্রশিক্ষণের খরচ কমাতে সরকারি সহায়তা ও ঋণের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

জবপোর্টাল তৈরি: বিএমইটির ট্রেনিং সেন্টারগুলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্য নিয়ে প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে একটি জবপোর্টাল তৈরি করতে পারে। এরপর বিভিন্ন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তারা যেন সরাসরি পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

Labor Market in Malaysia

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে সামাজিক মিডিয়া এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শ্রমিকদের জন্য সহজে তথ্য সরবরাহ করা যেতে পারে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে শ্রমিকেরা সহজে চাকরি খুঁজে পাবেন এবং নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।

কীভাবে এটি কাজ করে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে: বিএমইটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়োগ–সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করতে পারে, যেখানে শ্রমিকেরা সরাসরি চাকরির তথ্য ও ফি সম্পর্কে জানতে পারবেন। শ্রমিকেরা তাত্ক্ষণিকভাবে তথ্য পাবেন এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমবে।

অনলাইন সেমিনার ও ওয়ার্কশপ: অনলাইন সেমিনার ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিভিন্ন চাকরির বাজার, নিয়োগপ্রক্রিয়া এবং আইনি অধিকার সম্পর্কে জানানো হবে। শ্রমিকেরা নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ সচতেনতা অর্জন করবে, যা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী অভিবাসনব্যবস্থা তৈরি করতে বিভিন্ন কার্যকরী মডেল গ্রহণ করা প্রয়োজন। এসব মডেল শুধু মালয়েশিয়াতেই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বে আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা কমাতে, অভিবাসন খরচ হ্রাস করতে এবং তাঁদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

  • মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন শিকদার ও সেলিম রেজা, শিক্ষক ও সদস্য, সেন্টার ফর মাইগ্রেশন স্টাডিস, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
  • কে এম নূর-ই-জান্নাত, গবেষণা সহযোগী, সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment